বাঘমুণ্ডি: স্কুলের মধ্যেই ২ শিক্ষকের ঝামেলা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তোলপাড়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার বাগমুণ্ডি ব্লকের সালডাবরা জুনিয়র হাই স্কুলে। স্কুলের টিচার ইনচার্য কে, তা নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে তুমুল ঝামেলা।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যে তলানিতে গিয়েছে তারই নমুনা দেখা দেখা গেল পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির এই হাইস্কুলে। এই বিদ্যালয়ে ২ জন টিচার ইনচার্জ। শুনে অবাক লাগলেও দুজনেই দাবিদার যে তিনিই টিচার ইনচার্জ। তবে সেই কর্তৃত্ব ফলাতে গিয়ে ছাপিয়ে গেল দুই শিক্ষকের তুমুল গণ্ডগোল। একজন অন্যজনকে ছোটো লোক, চোর বলতেও থামেননি। লাটে উঠল শিক্ষাঙ্গনের পঠনপাঠন। ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষা মহলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিবাবক থেকে এলাকাবাসী স্কুলে ভিড় জামান।
আরও পড়ুন: অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর কোম্পানিকে ১০ কোটির কেন্দ্রীয় ভরতুকি
জানা গিয়ছে, এই শিক্ষাঙ্গনে শালডাবরা, বাঁধডি, গাগী সহ রাঙামাটি গ্রামের ১১৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। তবে দুজন শিক্ষকের মধ্যে প্রায়শই ঘটে এইরকম ঝামেলা। একে অপরের প্রতি দোষারোপ শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশকে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর তুমুল গণ্ডগোলে স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা এলাকা। অশ্লীল গালিগালাজ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই গটনাকে কেন্দ্র করে সারাদিন ধরে চলা এই দুই শিক্ষকের কীর্তি শিশু মনে কি প্রভাব ফেলবে, সেই প্রশ্নই এখন শিক্ষকমহলের দিকে। এ বিষয়ে নিজেকে টিচার ইনচার্জ দাবি করে গোপালচন্দ্র মহাপাত্র অপর শিক্ষক রাজেশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নথি চুরির অভিযোগ তুলে, তাঁকে ফাঁসানো সহ মারার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে বাগমুণ্ডি থানায়।
শিক্ষক গোপালচন্দ্র মহাপাত্র বলেন, ব্লক প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট এসআইকে জানানো হলেও তাঁরা কোনও সুরাহা করেননি। উল্টে বাঘমুণ্ডি ব্লকের বিডিও তাঁকে ফাঁকা রেগুলেশন খাতায় সই করানোর চেষ্টা করেন। যদিও এই ঘটনার জন্য জেলা পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায় নি।