রেশন কেলেঙ্কারিতে শনিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চলল ইডির। চার জেলার ১৬ টি জায়গায় ইডির অফিসাররা তল্লাশি চালান। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় একযোগে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই সঙ্গে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসকে। তাঁর কাছ থেকে সোমবারের মধ্যে বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, অভিজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে।
এদিন সকালে ইডি হানা দেয় বিধাননগরে বালু ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং হোটেলে। সেখানকার কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডির প্রাথমিক অনুমান, বাকিবুর এবং বালুর টাকা ওই দুই ব্যবসায়ীর হোটেলে বিনিয়োগ করা হয়েছে। সকাল থেকে অভিযান চলে রানাঘাটে বালু ঘনিষ্ঠ এক চালকল ব্যবসায়ীর বাড়িতে। হরিনঘাটাতেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি আটা কলে যান ইডির অফিসাররা। কলকাতায় এজেসি রোডে ওই সংস্থার হেড অফিসেও রাত পর্যন্ত ইডির হানাদারি অব্যাহত ছিল। অভিজিতের হাওড়ার বাড়িতেও যান ইডির অফিসাররা। বিকেলে আট গাড়ির একটি কনভয় পৌঁছয় খড়দহের রহড়ায়। সেখানকার মধ্যপাড়ায় বাড়ি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন আর এক আপ্ত সহায়ক তাপস বিশ্বাসের। তিনিই দরজা খুলে দেন। রাত পর্যন্ত অফিসাররা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বাকিবুরের সঙ্গে বালুর সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে।
সব মিলিয়ে রেশন দুর্নীতির শিকড়ের খোঁজে ইডি একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে। এদিন অবশ্য শাসকদলের নেতারা বালুর গ্রেফতারি কিংবা ইডির অভিযান নিয়ে আর সুর চড়াননি।