আসানসোল: ওয়ার্ড শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিটির লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করে ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল আসানসোলের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মহম্মদ সৈয়দ আলম কাদরী নামে ওই তৃণমূল নেতা আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বন ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক। পেশায় প্রধান শিক্ষক কাদরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি সি কে রেশমা।তিনি স্কুল ইন্সপেক্টর এবং আসানসোল উত্তর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন কাদরীর বিরুদ্ধে।
রেশমা বলেন, বিশ্বাস করে কাদরীর কাছে ব্যাঙ্কের পাসবুক এবং চেক বুক রেখেছিলাম।তিনি চেক নিয়ে সই করাতে এলে তা করে দিতাম।কিন্তু পরে দেখা যেত টাকার অঙ্কের আগে তিনি অন্য সংখ্যা বসিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। রেশমার অভিযোগ, একবার তিনি ৩৬২৫০ টাকার চেকে সই করেন কিন্তু কাদরী তার আগে ২ লিখে ব্যাঙ্ক থেকে ২ লক্ষেরও বেশি টাকা তুলে নেন। আর এক বার ৯ হাজার টাকার চেকে ৯ আগে ২ বসিয়ে ২৯ হাজার টাকা তুলে নেন।
আরও পড়ুন: যাদের টিভি শো বয়কট করবে ইন্ডিয়া জোট নাম প্রকাশ করল বিজেপি
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের অন্দরে হইচই শুরু হয়। কাদরী এবং রেশমার কথোপকথনে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে আসানসোল শহরে।যদিও সেই অডিওর সত্যতা কলকাতা টিভি ডিজিটাল যাচাই করেনি। ওই অডিওতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর রেশমা কাগজপত্র নিয়ে কাদরীকে তাঁর কাছে আসতে বলছেন।কিন্তু কাদরী বারবারই তাঁর কাছে সময় চাইছেন। রেশমা তাঁকে বিষয়টি জানানোর পরেও কাদরী বারবারই সময়ে চাওয়ার কথা বলতে থাকে।
স্কুল ইন্সপেক্টর সন্দীপ কোনার বলেন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ পেয়ে আমি সৈয়দ আলম কাদরীর নাম একটি চিঠি ইসু করি। তাঁকে সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়। আমি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জনাব। কংগ্রেস এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত দাবি করেছে। আসানসোল পুরনিগমের কংগ্রেস কাউন্সিলর গোলাম সরোবর বলেন, এই ঘটনা কী করে ঘটল তার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চাই। তাঁর অভিযোগ, এর পিছনেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ রয়েছে। যদিও ওই ঘটনা সম্পর্কে তৃণমূলের আসানসোল সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।